সফটএক্সপোতে দেশি-বিদেশি কোম্পানির বিটুবি সেশন অনুষ্ঠিত
করোনা মহামারির কারণে সব কিছুর মত থমকে গিয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্য। মহামারির প্রভাবে বন্ধ হয়েছিল আমদানি-রফতারি। তার প্রভাব পড়েছিল আইটি সেক্টরেও। তবে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে আইটি সেক্টর। সম্প্রতি বাংলাদেশের আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে নানা উদ্দ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। তারই ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয়েছে ১৭তম বেসিস সফটএক্সপো।
শনিবার রাজধানীর পূর্বাচলে চীন বাংলাদেশ প্রদর্শনী কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিজনেস টু বিজনেস কনফারেন্স আয়োজন করা হয়। কনফারেন্সে জাপানের ১৭ টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের ২৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ এ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্ডিয়া এবং ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। কনফারেন্সে অংশ নিয়ে দুইদেশের প্রতিনিধিরা আনন্দ ও উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দিন ব্যবসায় মন্দা বিরাজ করছিল। দুইদেশের প্রতিনিধিদের সাথে মহমারীর পর এই বৃহৎ আকারের স্বাক্ষাৎ হওয়াই তারা উচ্ছ্বাসিত। এমন একটি সুযোগ প্রদান করার জন্য দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা বেসিসকে ধন্যবাদ প্রদান করেছে।
বিজনেস টু বিজনেস কনফারেন্স সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বেসিস এর পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন, আমাদের আজকের কনফারেন্সে জাপানের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ করেছে। তারা আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেছেন। এতে করে তারা নিজেদের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। আমরা বেসিস থেকে তাদেরকে নিজের মধ্যে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছি।
জাপানী কোম্পানিগুলো এআই, আইওটি এবং সাইবার সিকিউরিটির মতো ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা জানিয়েছে এবং বাংলাদেশী আইটি ফার্মগুলোর সাথে সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব তৈরীতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান বেসিস এর এই পরিচালক।
নিক্কেই বিজনেস ল্যাব এশিয়া লিমিটেডের সভাপতি ও পরিচালক মাকিকো সুগিয়ামা জানান, সামগ্রিকভাবে বেসিস সফ্টএক্সপো ২০২৩ এর বি-টু-বি সেশনটি বাংলাদেশি এবং জাপানি আইটি শিল্পের মধ্যে সহযোগিতার প্রচার এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি সফল উদ্যোগ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। উভয় দেশে আইটি শিল্পের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের সাথে, এটি প্রত্যাশিত যে এই ধরনের ইভেন্টগুলি আন্তঃসীমান্ত অংশীদারিত্বকে উত্সাহিত করতে এবং প্রযুক্তি খাতে প্রবৃদ্ধি চালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷
আল্ট্রা-এক্স এশিয়া পেসিফিকের চিফ টেকনোলজি অফিসার তেতসুয়া সাকামোটো বলেন, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। প্রতিভাবান আইটি পেশাদারদের এক মহাজোট এবং সহায়ক সরকারের সাথে, এ দেশে সফ্টওয়্যার উন্নয়ন, ই-কমার্স এবং ফিনটেকের মতো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
কনফারেন্সে যোগ দিয়ে কেমন অনুভূতি হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে সাজিম টেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইহসানুল রহমান বলেন, এই কনফারেন্সে যুক্ত হতে পেরে আমাদের অনেক ভাল লাগছে। বেসিস আমাদের এমন একটি সুযোগ করে দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এমন উদ্দ্যোগের ফলে বিদেশি ক্রেতারা আমাদের পণ্য দেখতে পাচ্ছে এবং জানতে পারছে। এতে আমাদের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আরো বেশি জোরদার হবে বলে আশা করছি।